বগুড়ার নন্দীগ্রামে পরিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষককে মারধর কলেজ ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

 

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পরিক্ষা কেন্দ্রে  শিক্ষককে মারধর কলেজ  ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার



নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ বেল্লাল হোসেন বাবু

বগুড়ায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার এমসিকিউ উত্তরপত্রে বাড়তি সময় না দেওয়ায় মুনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ শাকিলের বিরুদ্ধে কক্ষ পরিদর্শক প্রভাষক ফেরদৌস আলীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে গত (২৬ জুন) বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল নেতাকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার ও তার বিরুদ্ধে থানায় সাধরণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এছাড়া সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা ছাত্রদল তাকে পদ থেকে বহিষ্কার করেছে। কলেজের অধ্যক্ষ বেলাল হোসেন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।



নন্দীগ্রাম মুনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ শাকিল নন্দীগ্রাম উপজেলার মাঝগ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের ৩০ মিনিটের এমসিকিউ পরীক্ষা শুরু হয়। সাড়ে ১০টায় শেষে সব পরীক্ষার্থী খাতা জমা দেন। কক্ষ পরিদর্শক ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক খাতা চাইলে শাকিল অস্বীকৃতি জানান। তিনি খাতা জমা না দেওয়ায় শিক্ষক লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দিতে পারছিলেন না। তখন অন্য পরীক্ষার্থীরা আপত্তি জানালে শিক্ষক শাকিলের হাত থেকে খাতা কেড়ে নেন। এরপর তিনি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেন। তখন শাকিল পরীক্ষা দেবেন না বলে খাতা ও প্রশ্ন নিয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এর আগে তিনি নিজেকে নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন আদরের ভাগিনা ও মুনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি পরিচয় দিয়ে কক্ষ পরিদর্শক প্রভাষক ফেরদৌস আলীকে হুমকি দেন। তিনি বলেন, তুই বাইরে আয়, আমার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা আছে, তোকে খুন করলে ১৩টি মামলা হবে। তখন অন্য শিক্ষকরা অনুরোধ করে তাকে কক্ষে ফিরিয়ে আনেন। এ সময় শাকিল কক্ষে এসে কক্ষ পরিদর্শক ফেরদৌস আলীকে মারধর করে বেরিয়ে যান।


মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বহিষ্কৃত ছাত্রদল সভাপতি শাকিলের অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Previous Post Next Post